আমার বড় ভাই সাংবাদিক হাবীব চৌহান। কাজ করে
দৈনিক ভোরের কাগজে। ফেজবুকে মাঝেমধ্যেই মানবিক এবং জনসচেতনতামূলক পোস্ট দিয়ে সাড়া
ফেলতে দেখেছি। কখনও পরিত্যাক্ত ক্লাব ঘরে আশ্রয় নেয়া অসহায়
বৃদ্ধ আব্দুল বারিক দুলাল, প্রবীণ নারী গোলেজান, ইঁদুরের
গর্ত থেকে ধান সংগ্রহকারী নিমাই মন্ডল, শারীরিক প্রতিবন্ধী কারিশা এবং বিয়ে ভেঙে
দিয়ে সাড়া জাগানো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তমাসহ আড়ালে পড়ে থাকা
মানুষকে ফেসবুকে তুলে ধরাসহ পত্রিকায় নিউজ করেছে। আমি জানি না এসব মানুষের ঘটনা
কতোজন পত্রিকায় পড়েছেন। তবে ফেসবুকে অসংখ্য মানুষ পড়ে লাইক এবং কমেন্টস করেছেন, তা
আমি দেখেছি। সেইসঙ্গে অবাক-বিস্মিত হয়েছি; কারণ ব্যাপারটা চারণ সাংবাদিকতার সংজ্ঞা
বদলে যাবার মতো।
আগে পত্রিকায় কোনো সংবাদ প্রকাশ হলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিতো। এখন এই
সংস্কৃতি বদলে গেছে। তবে বহুদিন পর দেখলাম কুষ্টিয়ার প্রশাসন সেই সংস্কৃতিতে ফিরে
এসেছে। সাংবাদিক হাবীব চৌহান কোনো মানবিক বিষয়, যেমন কোনো ব্যক্তি বৃদ্ধভাতা পান
না এবং তিনি নাজুক অবস্থায় আছেন বা চিকিৎসা পাচ্ছেন না; এমন কোনো ঘটনা তুলে ধরলেই
প্রশাসন এগিয়ে এসেছে। এজন্যে ধন্যবাদ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনকে।
কুষ্টিয়া জেলার সবক'টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তির প্রতি এতো নজর কোনো জেলা প্রশাসকের,
এটা আমার প্রথম দেখা। আমিও কুষ্টিয়ায় প্রায় ১০ বছর সংবাদিকতা করে এখন ঢাকায়। তাই
বিষয়টি আমাকে দারুণভাবে স্পর্শ করেছে। আরো ভালো লেগেছে ফেসবুকে জনসচেতনামূলক
শ্রেষ্ঠ পোষ্ট প্রদানকারী হিসেবে সাংবাদিক হাবীব চৌহান, তৌহিদ হাসান এবং এমএম
জামালকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগ অন্য
জেলাগুলোতেও বাস্তবায়ন করা হবে, এমনই আশা রইলো।
No comments:
Post a Comment